News update
  • Khaleda now not fit for travelling: Medical Board     |     
  • Panchagarh records lowest temperature 10.5°C so far this year      |     
  • Christmas returns to Bethlehem after two years of Gaza war     |     
  • কলাপাড়া মুক্ত দিবসে এবার সাড়া নেই কার     |     
  • One killed, two injured in attack at Ctg meeting over marriage     |     

জীবনরক্ষাকারী ৭৩৯ ওষুধের দাম ঠিক করবে সরকার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ওষুধ 2025-08-25, 9:08pm

img_20250825_210630-c4ecd198b96794b440aa7de4ebfbee0b1756134513.jpg




এখন থেকে জীবনরক্ষাকারী ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার। এর আগে এই ক্ষমতা আংশিক ভাবে ছিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) এ নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। ওষুধ মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস. কে. মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপইর্ট অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) সৈয়দ এজাজ করিব।

হাইকোর্ট শুনানি শেষে ১৯৯৪ সালে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে ওষুধের দাম নির্ধারণের আংশিক ক্ষমতা দিয়ে জারি করা সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে ১৯৯৩ সালের সরকারি গেজেট পুনর্বহাল করেছেন।

রায়ে আদালত সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদের আলোকে নির্দেশ দেন যে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

এ সময় স্বাস্থ্য সচিব, ডিজি হেলথ, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

২০১৮ সালে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১৭৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।

আইনজীবী মোরসেদ আদালতে যুক্তি দেন, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরাসরি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে সীমিত করে দেওয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। এসব কারণে জীবনরক্ষকারী ওষুধ সাধারণ মানুষকে বেশি দামে কিনতে হয়।