dead body
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে ধর্ষণের পর পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্য শেষে লাশ গুম করতে ফেলে দেয়া হয় নদীতে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তকে আটকের পর প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য। নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধারে অভিযুক্তর দেখানো স্পটে জাল ফেলে তল্লাশী চালাচ্ছে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ধর্ষণের পর এগারো বছরের শিশু লামিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফেলে দেয়া হয় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলরা চর আন্ডা গ্রামে।
স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চরআন্ডা বাজারে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে যায় লামিয়া। ফেরার পথে অটোরিকশা চালক আল আমিন হাওলাদার তাকে ঢেকে নেয় বিলের মধ্যে। এরপর যৌন নির্যাতন শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
ঘটনার পর বিভিন্ন আলমত এবং আল-আমিনের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে অসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ জানায়, আল-আমিনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলার কথাও জানায় সে। নিহত শিশুর লাশ উদ্ধারের জন্য অভিযুক্ত আল-আমিনকে নিয়ে নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তার দেখানো স্পটে জাল ফেলে তল্লাশি চলছে।
এদিকে শিশু লামিয়ার হত্যাকারীর বিচার দাবীতে রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী থেকে ধর্ষকের ফাঁসীর দাবী তোলা হয়।
অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান সচেতন মহলের। - গোফরান পলাশ