News update
  • Irregular entry, false asylum claims harm Bangladesh’s global standing     |     
  • Dhaka breathes ‘very unhealthy’ air Tuesday morning     |     
  • Election Code of conduct gazetted, banning posters-drones, AI misuse     |     
  • Rivers Keep Swallowing Land as Bangladesh Battles Erosion     |     
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     

এক যুগ পর সাফারি পার্কে বাচ্চা দিলো উগান্ডার জাতীয় পাখি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2025-11-11, 11:20am

rfgewrewrew-533721b11a47511c2435d08a58f3568e1762838400.jpg




গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো সফলভাবে বাচ্চা ফুটিয়েছে উগান্ডার জাতীয় পাখি ‘গ্রে ক্রাউনক্যান’। এক যুগ পর পার্কে এই বিরল প্রজাতির পাখির প্রজনন সফল হওয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ও দর্শনার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। 

পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে জন্ম নিয়েছে পাখির ছানাটি। বেশ কিছু দিন আগে ডিম থেকে ফুটলেও মা-বাবা পাখি ছানাটিকে নিরাপত্তার জন্য ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে মা, বাবা ও ছানাটিকে একসঙ্গে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে, যা দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, ২০১৩ সালে আফ্রিকার উগান্ডা থেকে আনা হয়েছিল গ্রে ক্রাউনক্যানের এই জুটি। এর আগে তারা কয়েক দফা ডিম পাড়লেও কোনো বাচ্চা টিকেনি। এবারই প্রথম সফলভাবে ছানা ফুটেছে। এটি পার্কের জন্য আনন্দের খবর। মা–বাবা ও ছানাটিকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

এই প্রজাতির পাখি পৃথিবীজুড়ে তাদের রাজকীয় সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা ও সুর নকল করার সক্ষমতার জন্য পরিচিত। সাধারণত একজোড়া গ্রে ক্রাউনক্যান আজীবন একসঙ্গেই থাকে। তারা বছরে ২–৫টি ডিম পাড়ে, যা থেকে ২৮ থেকে ৩১ দিনের মধ্যে ছানা ফোটে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক রহমান বলেন, এটি আমাদের জন্য বড় একটি অর্জন। আমরা ছানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি এবং আশা করছি বাচ্চাটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।

পার্কের কর্মীরা জানান, দুপুরের দিকে মা–বাবার মাঝে ছানাটিকে হাঁটতে দেখা যায়, যা দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয়। তবে ছানার সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট স্থানের চারপাশে বেড়া দেওয়া হয়েছে এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমিত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উগান্ডার এই রাজকীয় পাখির সফল প্রজনন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।আরটিভি/