News update
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     
  • What we know about one of Hadi's assassination attempters     |     
  • United States and Bangladesh Launch Money Laundering Bench Book     |     
  • 6 BD peacekeepers killed, 8 hurt in attack on Sudan UN Base     |     
  • Burglary at Hadi’s village home in Jhalokathi      |     

সবাই গায়ের উপর উঠে পড়ে: স্বস্তিকা মুখার্জি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2025-04-28, 9:46pm

rtrtwtert-7460d5401ab1a4b220d5bd2b9fb5c25f1745855197.jpg

স্বস্তিকা মুখার্জি



টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। এবার এই অভিনেত্রী নিলেন এক বড় সিদ্ধান্ত। 

ফেসবুক ও ইউটিউবের ভিডিওতে আয়ের জন্য সিনেমার প্রেস মিট বলেন কিংবা প্রচারণার যে কোনা আয়োজনে এখন ইউটিউবার ও ব্লগারদের উৎপাত তুমুলভাবে বেড়েছে। তারকাদের মোবাইল ও ক্যামেরা হাতে তারকাদের গায়ের উপরে উঠে যেতেও দ্বিধা করছেন না তারা। এমন পরিস্থিতির কারণে আগামীতে আর কোনো সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বস্তিকা। 

এই সিদ্ধান্তের পেছনে স্বস্তিকার যুক্তি হল, সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে আয়োজকরা টিমের সব কলাকুশলীদের আমন্ত্রণ জানায় না। এছাড়া প্রিমিয়ারে তারকাদের প্রতিক্রিয়া জানতে ভিড় করেন ইউটিউবাররা। ওই ভিড় এড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আরেকটি কারণ।

স্বস্তিকা অভিনীত ‘দুর্গাপুর জংশন’ সিনেমা কদিন আগে মুক্তি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমায় তিনি একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিমিয়ার শোয়ের আয়োজন এবং এই সময়ের সাংবাদিকতা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন স্বস্তিকা। এছাড়া ফেইসবুকেও এক পোস্টে নিজের মতামত জানিয়েছেন স্বস্তিকা।

স্বস্তিকা লিখেন, আমি এখন থেকে আর কোনো সিনেমা প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের সিনেমার না, অন্যের সিনেমারও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের।

প্রিমিয়ার আয়োজকদের সমালোচনা করে স্বস্বিকা বলেন, অর্ধেক সময়েই কলাকুশলীদের ডাকা হয় না। যে প্রোডাকশন দাদারা মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ় গুলে নিয়ে এল, তাদের প্রিমিয়ারে নিমন্ত্রণ করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

প্রিমিয়ার শো নিয়ে অতীত স্মৃতি তুলে ধরেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি লিখেন, বাবার সঙ্গে বাবার অনেক সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনে গিয়েছি। টগরি দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই সিনেমায়। সেখানে সব কলাকুশলীকেই ডাকা হয়েছিল। শুধু দেখনদারিতে এসে ঠেকেছে সব। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। 

সিনেমার প্রিমিয়ারে ইউটিউবারদের ভিড় নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে স্বস্তিকা বলেন, সবার হাতে ফোন, সবাই ভিডিও বা ছবি তোলেন। তাই বোঝার উপায় নেই আসল সাংবাদিক আসলে কে। অভিনেত্রীর ভাষ্য, কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দী হব জানি না। হঠাৎ করে এই শহরে সবাই ছবি শিকারি। আর কোনো নিয়ম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই, যেখানে মোবাইল হাতে চিত্রগ্রাহকেরা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে। পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যস!

নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন কেউ একজন আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই; কিন্তু তার বাইরে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পেছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয় (কারণ, মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই) তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সময়ের সাংবাদিকতা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন স্বস্তিকা। তার কথায়, সাংবাদিকদের উচিত 'ফ্যাক্ট চেক করা যে আদৌ ঘটনাটা ঘটেছে কি না' সে খোঁজ নেওয়া।

স্বস্তিকা বলেন, সবাই এখন ব্রেকিং নিউজের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছে। হাজারটা পোর্টাল সবাই ব্রেকিং নিউজের পেছনে ছুটছে। কে কার আগে পোস্ট করবে। কিন্তু আদৌ কি ঘটনাটা ঘটছে, সেটা জানে না। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, নেতিবাচক খবর বেশি ভাইরাল হয় পজিটিভ খবরের থেকে।একবার ভুল তথ্য ভাইরাল হলে হইচই পড়ে যায়। এটা দুর্ভাগ্যের যে আমরা যে সময় এখন আছি, সেখানে সবাই ছুটে চলেছে। কেউ পিছু ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করে না।