News update
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     

যুদ্ধের পর প্রথম টেলিভিশনে দেয়া খামেনির সম্পূর্ণ ভাষণ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-06-26, 9:59pm

831cac2356901c818644c7d1cf7481092a59dcbafac53843-006f1ac4bce3843c6f3672627578a1741750953562.png




ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র যদি আবারও আক্রমণ চালায়, তাহলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলিতে পাল্টা হামলা চালাতে পারে।

ইসরাইল ও ইরানের ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের বিরতি হওয়ার পর প্রথম টেলিভিশন ভাষণে এই কথা বলেন খামেনি।

৮৬ বছর বয়সী খামেনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলি হামলায় যোগ দেওয়ার পর ইরান কাতারে অবস্থিত এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

‘‘মহান ইরানি জাতিকে অভিনন্দন জানানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি জনগণকে একাধিক বিষয়ে অভিনন্দন জানাই। প্রথমত, জায়নিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য। সব প্রচারণা, শোরগোলের পরও জায়নিস্ট শাসন হাঁটু গেড়ে পড়তে বাধ্য হয়েছিল এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আঘাতে প্রায় ভেঙে পড়েছিল।’’

দ্বিতীয় অভিনন্দন আমেরিকার বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় ইরানের বিজয়ের জন্য। আমেরিকান সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। কারণ, তারা মনে করেছিল, যদি তারা না জড়ায়, তাহলে জায়নিস্ট শাসন (ইসরাইল) সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা (ইসরাইলকে) রক্ষা করার জন্য যুদ্ধে জড়িয়েছিল, কিন্তু এই যুদ্ধ থেকে কিছুই লাভ করতে পারেনি।

“তারা আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে, যা অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতে স্বাধীনভাবে বিচারের বিষয়। তবে তারা তেমন কিছু অর্জন করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ঘটনাটিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়াবাড়ি করেছেন; এটা স্পষ্ট ছিল যে, তার এই বাড়াবাড়ি করা প্রয়োজন ছিল। যারাই তার কথাগুলো শুনেছেন, তারাই বুঝতে পেরেছেন, এই বক্তব্যের নিচে আরেকটি লুকানো সত্য রয়েছে। তারা কিছুই করতে পারেনি। তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।”

‌‌ইসলামী প্রজাতন্ত্র আমেরিকার মুখের ওপর সজোরে থাপ্পড় মেরেছে। এই অঞ্চলে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি, আল উদেইদ এয়ার বেস আক্রান্ত হয়েছে এবং সেখানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যারা আগের ঘটনায় বাড়িয়ে-চড়িয়ে প্রচার করেছিল, তারা এবার ঘটনাটিকে কম গুরুত্ব দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে—বলেছে কিছুই ঘটেনি—অথচ বাস্তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে।

‌‌‘‘এই অঞ্চলে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের ক্ষমতা রয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের। যখনই প্রয়োজন মনে করবে, তখনই সেগুলোর ওপর আঘাত হানতে পারবে—এটা কোনো ছোট বিষয় নয়; এটা এক বিশাল ঘটনা। ভবিষ্যতেও এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হতে পারে। যদি কোনো আগ্রাসন ঘটে তবে শত্রুর জন্য এর মূল্য অবশ্যই অনেক বেশি হবে।’

খামেনির রেকর্ডকৃত বক্তব্যটি বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মাঝেও এমন বার্তা টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল। এবারও একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে তিনি কথা বলেছেন।

তার পেছনে ছিল একটি বাদামি পর্দা, এক পাশে ইরানের জাতীয় পতাকা এবং অন্য পাশে তার পূর্বসূরি রুহুল্লাহ খোমেনির একটি ছবি।