News update
  • Will Cumilla’s long abandoned airport surge back to life     |     
  • Expanding Bangladesh-Afghanistan Trade Prospects     |     
  • End misuse of police, ensure pol neutrality: Noted Citizens     |     
  • Decision on corridor must come from Parliament: Tarique     |     
  • Two teens killed in landslide while playing football in Ctg     |     

কোথায় রাখা আছে পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-04-30, 3:17pm

img_20250430_151447-96ede24ebcf5ab1d8c4a5ada886936b81746004650.jpg




ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের। সাম্প্রতিক সময়ের এই উত্তেজনায় উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনাও জোরদার করেছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে হয়ত ভারত হামলা চালাতে পারে। তবে ভারত যদি হামলা চালায় তাহলে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালানো হবে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন হুমকির পর থেকেই পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

পাকিস্তান অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে তাহলে কী হবে এ নিয়েও চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। এ ছাড়া দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কোথায় রাখা আছে এ যেন এখন আলোনার মূল বিষয় হয়েছে।

২০২৩ সালে ‘ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্সেস’ (FAS) পাক পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য জানিয়েছিল। সংস্থাটির প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছিল, কোথায় এই অস্ত্রগুলো (সম্ভাব্য) রাখা আছে। তারা আরও বলেছিল, পাকিস্তান বছরে নতুন করে ১৪ থেকে ২৭টি পারমাণবিক অস্ত্র নিজেদের ভাণ্ডারে যুক্ত করার কাজ করছিল। ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। অপরদিকে একই সময়ে ভারতের কাছে ছিল ১৮০টি অস্ত্র।

সংস্থাটি জানিয়েছিল, পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গোপনে সংরক্ষণ করে থাকে, যাতে একযোগে সব অস্ত্র ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি না থাকে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির নাম জানা গেছে, যেগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

১. মাশরুর বিমান ঘাঁটি : এটি করাচির নিকটে অবস্থিত এবং পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখান থেকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মিরাজ-টু এবং মিরাজ-থ্রি যুদ্ধবিমান পরিচালিত হয়।

২. সর্গোধা (Sargodha) ঘাঁটি : পাঞ্জাব প্রদেশের এই ঘাঁটি পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। এখানে পারমাণবিক ও কৌশলগত অস্ত্র সংরক্ষণ ও ব্যবহার সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয় বলে মনে করা হয়।

৩. কামরা (Kamra) বিমান ঘাঁটি : এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র। এখানেও পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৪. গজনি ও খুশাব ঘাঁটি : কিছু উপগ্রহচিত্র ও বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পাকিস্তান এই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য গোপন ভূগর্ভস্থ বাংকার নির্মাণ করেছে।

অস্ত্র বহনের মাধ্যম : পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে, যেমন :

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র : হাতফ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র (Hatf I থেকে Hatf VII পর্যন্ত) পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এর মধ্যে শাহীন-১ ও শাহীন-২ সর্বাধিক শক্তিশালী।

যুদ্ধবিমান : মিরাজ-III ও মিরাজ-V বিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহনে ব্যবহৃত হয়। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান চীন এবং পাকিস্তান যৌথভাবে নির্মাণ করেছে এবং এখন পাকিস্তান নিজেই এটি উৎপাদন করে থাকে।

ট্যাকটিকাল নিউক্লিয়ার অস্ত্র : ভারতীয় সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলায় স্বল্প পাল্লার ট্যাকটিক্যাল অস্ত্র তৈরি করেছে পাকিস্তান, যার মধ্যে রয়েছে NASR (Hatf-IX) ক্ষেপণাস্ত্র।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা এখনও মূলত সামরিক বাহিনীর অধীনে রয়েছে এবং বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ সীমিত। ফলে সংকটকালে হঠাৎ প্রতিক্রিয়াশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ পাকিস্তানে এখনও একটি বড় হুমকি, যার কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ আছে। আরটিভি