News update
  • Brazil Launches Fund to Protect Forests and Fight Climate Change     |     
  • UN Warns Conflicts Are Devastating Ecosystems Worldwide     |     
  • Flood-hit Kurigram char residents see little hope in politics, elections     |     
  • Air quality of Dhaka continues to be ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • BNP pledges to implement signed July Charter     |     

হেপাটাইটিস ভাইরাস প্রতিদিন ৩,৫০০ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়: ডব্লিউএইচও

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2024-04-10, 8:01pm

img_20240410_200217-2e9638aabc37a3e302aaedb210ac47961712757765.jpg




হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রতিদিন ৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রামক ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এই সপ্তাহে পর্তুগালে বিশ্ব হেপাটাইটিস সম্মেলন উপলক্ষ্যে রেখে প্রকাশিত ডব্লিউএইচও রিপোর্ট অনুসারে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১ লাখ।

ডব্লিউএইচও -এর গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ কর্মসূচির প্রধান মেগ ডোহার্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এগুলো হল ‘আশঙ্কাজনক প্রবণতা।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩,৫০০ জন মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি থেকে ৮৩ শতাংশ, হেপাটাইটিস-সি থেকে ১৭ শতাংশ।

কার্যকর এবং সস্তাা জেনেরিক ওষুধ রয়েছে যা এই ভাইরাসগুলো প্রতিরোধ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবুও দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা পেয়েছে। 

হেপ সি-এর জন্য, মাত্র ২০ শতাংশ - বা ১২.৫ মিলিয়ন লোককে - চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

ডোহার্টি বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হেপ বি এবং সি এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত লোকের ৮০ শতাংশের চিকিৎসা করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।’

হেপাটাইটিস সংক্রমণের সামগ্রিক হার কিছুটা কমেছে।

তবে ডব্লিউএইচও  প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জোর দিয়েছিলেন যে প্রতিবেদনটি ‘একটি উদ্বেগজনক চিত্র এঁকেছে’।

তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার নতুন হেপ বি সংক্রমণের ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও মহাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের কম শিশুর জন্মের সময় টিকা দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের সংস্থাটিও দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে জেনেরিক হেপাটাইটিস ওষুধের পর্যাপ্ত অ্যাক্সেস নেই এবং তাদের আরো বেশি অর্থ প্রদান করা উচিত। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিসের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশ, চীন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনামে।

ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশে প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সার্বজনীন সুবিধা এবং আফ্রিকান অঞ্চলে জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।’ বাসস।