
খুলনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চমক হিসেবে নাম উঠে এসেছে কৃষ্ণ নন্দীর। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী হতে যাচ্ছেন তিনি। দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-১ আসনে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে এখন জোর গুঞ্জন।
কৃষ্ণ নন্দী জানিয়েছেন, তাকে প্রার্থী করা হলে তিনি নির্বাচন করতে প্রস্তুত। যদিও জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে, এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, তবে বেশ কিছু আসনে এবার জামায়াতের চমক থাকবে।
ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু সংগঠন জামায়াত ইসলাম সনাতনী শাখার সভাপতি। এ উপজেলা ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। গত প্রায় এক বছর ধরে ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় গোলাম পরওয়ারের সব রাজনৈতিক সমাবেশে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে তার। শুধু নিজের উপস্থিতি নয়, প্রতিটি সমাবেশে তার নেতৃত্বে হিন্দু নারী পুরুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
যদিও খুলনা-১ আসনে এর আগে মো. ইউসুফ নামে একজনকে সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে একজনের নাম ঘোষণা করেছিলো জামায়াত।তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে কৃষ্ণ নন্দীর নাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি চাচ্ছেন, আমি নিজেও প্রার্থী হতে আগ্রহী। দল যদি আমাকে ঘোষণা দেয়, আমি নির্বাচন করতে চাই।’
তিনি কোনো গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন কি না, আপনাকে নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেটা তো আপনারাও বুঝতে পারছেন। আমাকে বলতে হবে কেন? যেহেতু আমি হিন্দু মানুষ, দাকোপ-বটিয়াঘাটা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। পার্টি যদি আমাকে নির্বাচন করতে বলে আমাকে নির্বাচন করতে হবে।’
তবে এবিষয়ে খুব স্পষ্ট করে কোন কথা জানাতে পারেননি জামায়াতের স্থানীয় কিংবা কেন্দ্রীয় নেতারা।
খুলনা জেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনালে মুন্সী মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ। এখন পর্যন্ত সেটাই ঠিক আছে। তবে অনেক আলোচনাই হচ্ছে। সেখানে কৃষ্ণ নন্দীর নামও আছে।’
সারা দেশে জামায়াত কিছু আসনে হিন্দু প্রার্থী দেবে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের একটি আসনের ব্যাপারে চিন্তা আছে, খুলনারও একটি আসনের ব্যাপারে চিন্তা আছে। উপজাতিতের মধ্যে থেকেও একজন প্রার্থী হতে পারেন। এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, চূড়ান্ত নয়। সংগঠন এটা নিয়ে ভাবছে এটা নিয়ে কি করা যায়। আগামী ২৭ তারিখ কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির বৈঠক আছে, সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় দুজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সময় সংবাদকে জানান, তাকে চূড়ান্তভাবে কিছুই বলা হয় নি। তবে জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় চমক থাকবে।