News update
  • Tarique visits National Martyrs’ Memorial, pays homage to martyrs     |     
  • Muslim League leads new electoral alliance, Jatiya Muslim Jote     |     
  • Tk 500cr Drive to Turn Haor Fallow Land Into Farmland     |     
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     

কোটা আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না : মির্জা ফখরুল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-07-09, 8:09am

ottwrwoeirowi-c6c94bdb5694e821b7d668ca3b4a52581720490996.jpg




বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সরকারি দলের মন্ত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কখনই এই ধরনের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই সব আন্দোলন তাদের নিজস্ব এটা, তাদের প্রফেশনাল জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করছেন, ছাত্ররা করছে, ছাত্রীরা করছেন। আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব কেনো? প্রশ্নই ওঠে না।

এইসব আন্দোলনেকে বিএনপি ‘যৌক্তিক’বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তবে যেটা সত্যি সেটা সত্যি বলব, যেটা যৌক্তিক সেটা যৌক্তিক বলব; এটা আমরা সব সময় বলছি। দেশের মানুষের কাছে তাদের দাবিটা অন্তত তাদের স্বার্থে যদি তারা ঐক্যবদ্ধ হয়, এটা আমাদেরকে বরঞ্চ অনুপ্রাণিত করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটাকে আমরা দুইভাবে দেখি। একটা হচ্ছে, দেশে বিপুল সমস্যা আছে সেটাকে ডায়ভার্ট করার জন্যে আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, কোটা বিরোধী ছাত্রদের এই দাবিকে আমরা সমর্থন করি কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না। ৫০ বছর পরেও ৫৬% আপনি কোটা দিয়ে রাখবেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এখানে যেটা হচ্ছে মেধার বিকাশ হচ্ছে না, মেধাবীদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন জায়গাগুলোতে নিতে পারছেন না। একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। আপনি এর আগে একরকম কথা বলেছেন, এখন করছেন আরেক রকম। আপনি বলেছেন যে, যারা পেনশন পায় তাদের কোনো দরকার নেই। যারা বাইরে পেনশন পায় তাদেরকে নিয়ে আসতে পারে। ঐচ্ছিক এখন কম্পোলসারি করে দিয়েছেন। কারণ হচ্ছে সরকারের আর্থিকখাতে যে দুরাবস্থা তাদের টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা বিভিন্ন অটোনোমাস বডি আছে এদের মধ্যে অনেকগুলো বডি আছে যাদের কাছে বহু সারপ্লাস মানি ছিল সেগুলো নিয়ে নিয়েছে। কোথাও কিছু বাকি রাখছে না, সব নিয়ে ফেলছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা বাস্তব কথা। আমরা বার বার বলছি, এই সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সবাই দুর্নীতিবাজ। এমনকি আপনার যারা প্ল্যানিং করছে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করছে, বাজেট তৈরি করছে সবক্ষেত্রে দেখবেন দুর্নীতির ব্যাপারটা প্রধান। ঋণের যে ট্র্যাপ সেই ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। সেই ফাঁদে পড়ে যাওয়ার কারণে এখন তারা চতুর্দিক থেকে একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, আরেকটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, এভাবে চলছে। একটা ঋণ নিয়ে আরেক ঋণ শোখ করা এটা কারা করে? দেখবেন যারা সব জায়গাতে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক মতো চালাতে পারছে না, তাদেরকে কিন্তু এই কাজটা করতে হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মারাত্মক ভুল তথ্য তারা দিচ্ছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম যে, রপ্তানি আয় ৬৪ বিলিয়ন বেশি দেখিয়েছে। ইট ইজ নট ট্রু। ওদের হিসাবেই এসব ভুল বেরুচ্ছে। এনটিভি