News update
  • Israeli Assault Has Plunged Gaza Into Worst Economic Collapse     |     
  • Woman sent to jail on charges of killing 8 puppies in Pabna     |     
  • UN Assembly Urges Decisive Action to Resolve Israel-Palestine Conflict     |     
  • Sediment-borne fertility transforms northern Bangladesh     |     
  • 3 Armed Forces Chiefs, Jamaat Ameer visit Khaleda Zia at Hospital     |     

মধ্যরাতে উঠছে নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলেরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মৎস 2024-11-03, 9:07am

retretert-a23595b4e384ec420d65cb01560b43bc1730603263.jpg




কেউ মেরামত করছে নৌকা। কেউ বুনছে জাল। কেউ করছে নৌকা ধোয়া-মোছার কাজ। বড় বড় ফিশিং ট্রলারগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে নিচ্ছেন ট্রলারে। অনেকদিন পর সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সুনশান নীরব ঘাটগুলো হয়ে উঠছে কর্মচঞ্চল। সাগরে মাছধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ (৩ নভেম্বর) রোববার মধ্যরাত থেকে। রাত ১২টার পর সবাই নদীতে নেমে পড়বেন মাছ শিকারে। সবশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে নোয়াখালী হাতিয়ার প্রায় একলাখ জেলে।

হাতিয়ার সূর্যমুখী ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলা উদ্দিন জানান, হাতিয়াতে ছোট বড় ২০টি ঘাটে প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা রয়েছে। এসব নৌকায় ১০ জন করে হলেও একলাখ লোক এই জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত। মা ইলিশ রক্ষায় গত ২২ দিন এসব জেলেরা নদীতে না গিয়ে বেকার সময় পার করছে। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ায় আজ মধ্যরাত থেকে মাছ ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এসব জেলেরা। এতে জেলে পল্লীতে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। ঘাটে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।

সরেজমিনে সকাল থেকে বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নদীতে যাওয়ার সবশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে খালের মধ্যে ইঞ্জিন চালু করে ট্রলার এদিক সেদিক চালিয়ে পরীক্ষা করে নিচ্ছেন। বড় বড় ফিশিং ট্রলারগুলো আইস নিয়ে নিচ্ছেন।

সূর্যমুখী ঘাটের কয়েকজন জেলে জানান, গত ২২ দিন বেকার ছিলেন তারা। তাদের আয়-উপার্জন বন্ধ ছিল। কেউ কেউ অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়লেও অনেকে নিজেদের নৌকা, জাল মেরামতে সময় কাটাচ্ছেন। রাত ১২টার সবাই নদীতে নামবেন মাছ শিকারে। এ বছর মৌসুমের প্রথম থেকে ভালো মাছ পাওয়া যায়নি। অনেক জেলে নৌকা এখনো আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। নিষেধাজ্ঞার পর নদীতে মাছ পাওয়া না গেলে তাদেরকে পথে বসতে হবে।

উপজেলার কাজির বাজার ঘাটের জেলে নাজিম উদ্দিন জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সরকারিভাবে দেওয়া ২৫ কেজি চাল পেয়েছেন। বেকার ছিলেন ২২ দিন, কিন্তু দেওয়া হয়েছে ২৫ কেজি চাল। ৫ সদস্যের পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস কিনতে তাকে অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তার নৌকায় তিনি ছাড়া আরও ৯ জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারিভাবে দেওয়া চাল পেয়েছে আরও ৫ জন। অন্য ৪ জন কিছুই পাননি। তাদেরকে এই ২২ দিন দৈনিক মজুরিতে কাজ করে সংসার চালাতে হয়েছে।

হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন জানান, হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করার মতো ট্রলার রয়েছে ২ শতাধিক। এসব ট্রলারে ২০ জন করে ৪ হাজার জেলে রয়েছে। গত ২২ দিন এসব জেলের পরিবারের ভরণ পোষণ ট্রলার মালিকদের করতে হয়েছে। এ বছর ট্রলার মালিকরাও আর্থিক লাভ এখনো দেখতে পায়নি। তাতে নিষেধাজ্ঞার পরও যেন জেলেরা সাগরে যেতে সম্মত থাকে তাই তাদের পরিবারের ব্যয় ট্রলার মালিককে বহন করতে হয়েছে। সরকারিভাবে যে চাল দেওয়া হয় তা জেলেদের কোনোভাবে পোষায় না। অনেকে তাও পান না।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, হাতিয়াতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালন করা হয়েছে। এ সময় নদীতে ও সাগরে প্রশাসন কঠোর ভাবে অভিযান পরিচালনা করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কিছু অসাধু জেলেকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়। এ বছর প্রণোদনা হিসেবে হাতিয়াতে ১২ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আরটিভি