News update
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     

চীনে ধনকুবের গায়েব হয়ে যাওয়া চলছেই

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2023-03-09, 5:31pm

a92464d0-be27-11ed-a23e-194588b34495-fe2a81c46ab58a2bd92a37cd5fdfbdb91678361476.jpg




চীনের প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ধনকুবের বাও ফ্যান গত মাস থেকে নিখোঁজ আছেন এবং তার এই হারিয়ে যাওয়া চীনের সাম্প্রতিক একটি প্রবণতার প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছে। আর তা হলো – বিলিওনিয়ারদের গায়েব হয়ে যাওয়া।

চায়না রেনেসাঁ হোল্ডিংসের প্রতিষ্ঠাতা বাও ফ্যান। এর ক্লায়েন্ট তালিকায় আছে ইন্টারনেট জায়ান্ট- টেনসেন্ট, আলীবাবা ও বাইডু।

তাকে চীনের প্রযুক্তি খাতের একজন টাইটান বা বিশাল ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হয়।

তার গায়েব হওয়ার পদ্ধতিটা অবশ্য দেশটিতে সুপরিচিত। যখন তার কোম্পানি ঘোষণা করলো যে তারা চীন কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তে সহায়তা করছে তার আগে তিনি নিখোঁজ হন।

ওই তদন্ত বা মিস্টার বাওয়ের অবস্থান নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ একটি শব্দও উল্লেখ করেনি। এটাও দেশটিতে একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে যে এমন ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য থাকে না।

তার নিখোঁজ হওয়া রহস্য তৈরি করেছেন কারণ গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতার নিখোঁজ হওয়ার ধারাবাহিকতাতেই এটি ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছেন আলীবাবা বস জ্যাক মা।

আর যখন এ ধরণের ধনকুবেরদের গায়েব হওয়া নিয়ে বেশি আলোচনা হয় তখন দেশটির সাধারণ নাগরিকদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। বিশেষ করে যারা সরকার বিরোধী বা মানবাধিকার কর্মী তাদের বিষয়টি।

তবে মিস্টার বাওয়ের গায়েব হয়ে যাওয়া আরও একবার একটি দৃষ্টিভঙ্গির ওপরই স্পট লাইট ফেলছে। আর তা হলো দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এভাবেই চীনের অর্থনীতির ওপর তার নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে চাইছেন।

যায়নি। যদিও তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

মিস্টার মা’র অবস্থান এখনো পরিষ্কার। যদিও মাঝে মধ্যে তিনি জাপানে, থাইল্যান্ডে বা অস্ট্রেলিয়ায় বলে খবর বেরিয়েছিলো।

তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এসব ব্যবস্থাকে দেশটির ধনী ব্যক্তিদের নিয়ে কিছু আইনি ব্যবস্থা হিসেবে দেখাতে চেয়েছে যার উদ্দেশ্য দুর্নীতি দূর করা।

এটা তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে যারা তাদের সম্পদ ও অন্য কারণে যথেষ্ট ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিলেন।

এখন এই ক্ষমতাই চীন সরকার ফেরত নিতে চাইছে বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন।

এর আগে বেইজিংয়ের মূল দৃষ্টি ছিলো মূলত সামরিক, ভারী শিল্প ও স্থানীয় সরকারের ওপর।

মিস্টার শি এখন তার ফোকাস বড় করছেন অর্থনীতির আরও খাত তার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য। তার কমন প্রসপারিটি পলিসিকে দেখা হয়েছে অর্থনীতির ওপর বড় ধরণের অভিযান হিসেবেই।

দ্যা ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নিক মারো বিবিসিকে বলেছেন, “মাঝে মধ্যে এসব ঘটনা একটি বড় বার্তা দেয়, বিশেষ সুনির্দিষ্ট শিল্প বা ইন্টারেস্ট গ্রুপকে”।

তবে দিন শেষ একটি অর্থনীতির একটি অংশের ওপর সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয় বলে মনে করেন তিনি। তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।