News update
  • FAO Warns of ‘Silent Crisis’ as Land Loss Threatens Billions     |     
  • Indices tumble on both bourses amid broad-based sell-off     |     
  • BNP Names 237 Possible Candidates for Polls     |     
  • Bangladeshi leader of disabled people of world Dulal honoured     |     
  • UN Report Warns Inequality Fuels Global Pandemic Vulnerability     |     

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আমানতকারীদের অর্থের কী হবে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-09-08, 2:01pm

ewrewtwet-b5a0a47b9f7934009358f2501e2ecfac1757318506.jpg




অবশেষে অনিয়ম, দুর্নীতি আর খেলাপির ভারে নুয়ে পড়া ব্যাংক বহির্ভূত ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও অবসায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে চলতি মাসেই। যদিও অবসায়নের পর আমানতকারীদের অর্থের কী হবে? এখনও সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে স্বয়ং কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগেই সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ করার তাগিদ দিচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজেদের শ্রমে-ঘামে জমানো সঞ্চয় জমা রেখে তাদের মতোই তা তুলতে দিনের পর দিন ঘুরছেন অনেকে। এর মধ্যে আবার দুর্বল প্রতিষ্ঠান বন্ধের আলোচনা যেন বিবর্ণ করে দিচ্ছে তাদের রঙিন স্বপ্ন।

তাদের শঙ্কা সত্যি করে ব্যাংক বহির্ভূত ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, ব্যাংকের মতোই এসব প্রতিষ্ঠানেও জেঁকে বসেছে অনিয়ম-দুর্নীতি, বাড়ছে খেলাপি ঋণ। বর্তমানে যা ছাড়িয়ে গেছে ২৭ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছে ওই ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঘরে।

এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কিছু পর্যালোচনা করে ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩ অনুযায়ী’ বন্ধের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি মাসেই আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তবে অর্থ বিভাগের অনুমোদন ও আমানতকারীদের ফেরত দেয়া অর্থ কোথা থেকে আসবে তা নিশ্চিতে এখনও চলছে কাজ।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের নিচে হলে কোনো কর্মকর্তাকে বোনাস দেয়া হবে না: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে যাচাই করে দেখেছি। তারা যে উত্তর দিয়েছে, সেটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তারা ব্যবসা পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানতকারী খুব বেশি নেই। তারপরেও যারা আছেন, তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটি দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের রোডম্যাপও জানানোর পরামর্শ আর্থিক খাত বিশ্লেষকদের।

এ বিষয়ে বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং মার্কেটে যেহেতু নতুন লাইসেন্স দেয়া সুবিধার না, তাই ওইসব লুটেরাদের নন-ব্যাংক হিসেবে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, আর তারা নন-ব্যাংক থেকেও টাকা মেরেছে। যেগুলো পরিচালনার যোগ্য নয়, সেগুলো বন্ধ করে দেয়াই ভালো। বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোর দায়িত্ব নিয়ে আবার টাকা-পয়সা খরচ করার মানে হয় না। কারণ, যেগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি ঋণ খেলাপি রয়েছে, সেগুলো কি ঘুরে দাঁড়াবে নাকি! ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব ব্যাপার।  

 ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুলনামূলক ভালো হিসেবে চিহ্নিত ১৫টির ৪৯ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি রয়েছে মাত্র তিন হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।