News update
  • Muslim League leads new electoral alliance, Jatiya Muslim Jote     |     
  • Tk 500cr Drive to Turn Haor Fallow Land Into Farmland     |     
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     

এবারও খেলাপি ঋণ আদায়ে ছাড়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2024-07-09, 7:38am

eherowriuw-96e1393ceb80d7c2ff0d591d234332c11720489129.jpg




চলতি বছরও খেলাপি ঋণ কমাতে ঋণখেলাপিদের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এবার সীমিত আকারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ঋণের ১০ শতাংশ জমা দিয়ে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে খেলাপি ঋণ এই সময়ে নিয়মিত দেখানো হবে না।

সোমবার (৮ জুলাই) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়; যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একে ‘এক্সিট পলিসি’ বলছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তবে ঋণের একাংশ পরিশোধ হলেই আগের মতো ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ এখানে রাখা হয়নি, পুরো ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত খেলাপি গ্রাহক ‘খেলাপি’ হিসেবেই চিহ্নিত হবেন। এই সময়ে তিনি নতুন কোনো ঋণও পাবেন না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, এক্সিট সুবিধার আওতায় এক বা একাধিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। একাধিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিশোধ সূচি প্রণয়ন করতে হবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সাধারণভাবে ২ বছরের বেশি হবে না। তবে পরিচালনা পর্ষদ যুক্তিসঙ্গত কারণ বিবেচনায় সর্বোচ্চ আরও এক বছর সময় বাড়াতে পারবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ‘এক্সিট’ নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে ব্যাংকগুলো ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করছে। এ কারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছে, এক্সিট সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত ঋণের মানের কোনো পরিবর্তন হবে না। পরিস্থিতির কারণে যেসব ঋণগ্রহীতা খেলাপি হচ্ছেন তাদের খেলাপি ঋণ এই নীতিমালার আওতায় নবায়ন করে আদায় করা যাবে। এ জন্য গ্রাহককে মোট ঋণের কমপক্ষে ১০ শতাংশ পরিশোধ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। ব্যাংক গ্রাহকের আবেদন ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সুদ মওকুফ সুবিধাও দেওয়া যাবে। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থেকে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এর বেশি ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। ঋণের পুরো অর্থ পরিশোধের জন্য ২ বছর সময় দেওয়া যাবে। গ্রাহকের প্রয়োজনে এর সীমা আরও ১ বছর বাড়ানো যাবে। মোট ৩ বছরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত জামানত ছাড় করা যাবে না। তবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। পুরো ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহক খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতার ব্যবসা, শিল্প বা প্রকল্প কখনো কখনো বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে বন্ধ হয়ে যায় অথবা লোকসানে পরিচালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা থেকে গ্রাহকের নগদ প্রবাহ বন্ধ বা কিস্তি পরিশোধের জন্য নগদ প্রবাহ অপর্যাপ্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঋণ আদায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে শ্রেণিকৃত হয়ে যায়, যা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি পর্যায়ে পড়ে না।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, এর আওতায় কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি সুবিধা পাবেন না। পরিস্থিতির কারণে যারা খেলাপি হবেন তারা পাবেন। এছাড়া যারা ব্যবসা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চান তারাও এই সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে একটি নীতিমালা করতে হবে। তবে কোনোক্রমেই এ নীতিমালার চেয়ে শিথিলযোগ্য শর্ত রাখা যাবে না। ওই নীতিমালা পর্ষদে অনুমোদন করতে হবে। এর ভিত্তিতে ব্যাংক এর বাস্তবায়ন করবে। এই নীতিমালার আওতায় ঋণ নবায়ন করা হলে তা ঋণ পুনর্গঠন বা পুনঃতফশিল হিসাবে বিবেচিত হবে না।

সংস্থাটি বলেছে, ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ, এমন বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে অথবা নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে প্রকল্প বা ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে অথবা ঋণগ্রহীতা কর্তৃক প্রকল্প বা ব্যবসা বন্ধ করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ঋণের প্রস্থান সুবিধা দেওয়া যাবে। আরটিভি