News update
  • Govt reaffirms commitment to distribute school books by Jan     |     
  • Dhaka’s air turns ‘unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • BD’s leather sector stuck at $1bn; could tap $5bn: Experts      |     
  • RU suspends ward quota reinstatement amid student protests     |     
  • Airports across Europe face disruptions due to cyberattack     |     

জাতিসংঘ মহাসচিবের কক্সবাজার সফর: গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা ইস্যু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-03-14, 1:08pm

rwewerewrwr3-90d1eab5a75b96de49feafad1182bb141741936130.jpg




অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন। দুইজনই শুক্রবার কক্সবাজার পৌঁছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রাথমিক সফরসূচি উল্লেখ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। এ সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক-প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

এরপর জাতিসংঘের মহাসচিব বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে পৌঁছাবেন। পরিদর্শনের সময় একটি ওয়াচ টাওয়ারে উঠে আশ্রয়শিবিরের বর্তমান চিত্র পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করা হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও সেবা কার্যক্রমের হালচাল তুলে ধরবেন। 

বিশেষ করে, খাদ্য সহায়তা কমে আসা এবং খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ার বিষয়টি বলা হবে। পরিদর্শনকালে জাতিসংঘের মহাসচিব বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) একটি লার্নিং সেন্টার, ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপির সেবা ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে যাবেন। পাশাপাশি পৃথক তিনটি বৈঠকে রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, তরুণ ও নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব সন্ধ্যায় ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন হেলিপ্যাড এলাকায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধান উদেষ্টা আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

রোহিঙ্গা নেতা ডা. জোবায়ের বলেন, রাজনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য রোহিঙ্গাদের হাজার বছরে ঐতিহ্য। যা সেদেশের  জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মি কৌশলগতভাবে নির‌্যাতন করে রোহিঙ্গাদেরকে বিতাড়িত করেছে, দেশছাড়া করেছে। আমরা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের এ সফরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যা আমাদের মর‌্যদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন হয়।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সোলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের এ সফরে রোহিঙ্গাদের যেন মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া কার‌্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধিতে যেন ভূমিকা রাখে। ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য কাজ করার আহ্বান করেন তিনি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জরুরি। আমরা এ সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের আশার আলো দেখছি।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থীদের আশ্রয়শিবির কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩ লাখের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকের বাসবাস। দীর্ঘ আট বছরে একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। উলটো আরাকানে চলমান সংঘাতের জেরে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে ক্যাম্পে ঠাঁই নিয়েছেন আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

যার মধ্যে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ৫ হাজার ৫২০ জন। পরিবার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ২৭৪টি। আশ্রিতদের মধ্যে ৫২ শতাংশ শিশু, ৪৪ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৪ শতাংশ বয়স্ক রয়েছে। যার মধ্যে ৪৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ শতাংশ নারী। আর প্রতিবছর ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে।

তথ্যানুযায়ী, ১৯৭৭-৭৮ সালে ২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে, যার মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার মিয়ানমারে ফিরে যায়। এরপর ১৯৯১ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন অনুপ্রবেশ করে, যার মধ্যে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন মিয়ানমারে ফিরে যায়।

২০১২ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। তারপর ২০১৭ সালে ৮ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। আর ২০২৪ সালে ৬৪ হাজার ৭১৮ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।আরটিভি