News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের বিষয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-09-13, 10:35am

rete34534-4a88cef232dab99129143c3272b120d11757738150.jpg




রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের বিষয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্বীকার করেছেন, এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেখুন— ভারত তাদের (রাশিয়ার) সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল। আমি ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছি, কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। এটা করা সহজ কাজ নয়।

ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভারত তাদের কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। এর প্রতিবাদে ট্রাম্প ভারতের কিছু রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ করেন। ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে একটি ‘বড় চুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটির কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।’

এর আগে ট্রাম্প প্রথমে ভারত থেকে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন। পরে ২৭ আগস্ট থেকে সেই শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করা হয়।

কয়েক সপ্তাহের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলবেন। ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাধা মোকাবেলায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর বলেছেন, তিনি আগামী সপ্তাহে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফরের সময় এই বিষয়ে অগ্রগতি আশা করছেন। গোর বলেন, আমরা আমাদের বন্ধুদের ভিন্ন মানদণ্ডে রাখি। তিনি চান যে, ভারত যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকে, দূরে নয়। তবে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে মোদিকে আক্রমণ করেননি।

একই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে, তবে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তিনি পুতিনের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্কের কথা বললেও, যুদ্ধ শেষ করতে ব্যর্থতার জন্য হতাশা প্রকাশ করেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, শুল্কের পাশাপাশি ব্যাংক ও তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাও একটি বিকল্প হতে পারে, তবে ইউরোপীয় দেশগুলোরও এতে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।