News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

১১ মাস ধরে বন্ধ বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বাণিজ্য বৈঠক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-07-20, 5:10pm

benaapol-2edda5a4c3ce8c801f43278d6e76817e1753009849.jpg




দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল এবং অপর প্রান্তে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কর্মকর্তাদের মাসিক বাণিজ্য বৈঠক। গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এখনও কোনো বৈঠক হয়নি। এতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 

বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে।  

বাণিজ্য জটিলতা সমাধানে ২০১৬ সালে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে মাসিক বৈঠকের রীতি চালু হয়। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় কাস্টমস, বন্দর ও আমদানি-রপ্তানি সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে প্রতিমাসে বৈঠক করতেন। এতে অনেক সমস্যা সমাধান হতো। গত বছর ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর বৈঠক হয়নি। বৈঠক না হওয়ায় বাণিজ্য-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের সুযোগ কমে এসেছে। প্রসঙ্গত, বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রতি অনেক কমে গেছে। 

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ভারত ও বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি উভয় বন্দর এলাকায় যে সমস্যা সৃষ্টি হয় সে সমস্যাগুলো সমাধান করে থাকে। ৫ আগস্টের পর গত ১১ মাসে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের যে কমিটি রয়েছে সেই কমিটির একটি মিটিংও ভারতের ব্যবসায়ীরা ডাকেনি, ফলে দুই দেশের যে বিরাজমান সমস্যাগুলো রয়েছে, বন্দর এলাকায় সেগুলো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মহসিন মিলন আরও জানান, আমরা ইতোমধ্যে ভারতীয় যে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো আছে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশস্ত করেছে, যত দ্রুত সম্ভব ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে কমিটি রয়েছে সেই কমিটির সভা ডাকবেন। সেখানে যাবো দুই দেশের মধ্যে সেসব সমস্যাগুলো বিরাজমান রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন বলেন, আমরা অচিরেই দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে বাণিজ্যিক বৈঠকের আয়োজন করবো।