
দীর্ঘ ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে একযোগে এই মেধা যাচাই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে শিক্ষা বোর্ডগুলো জারি করেছে একগুচ্ছ কঠোর নির্দেশনা, যা অমান্য করলে বাতিল হতে পারে পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা।
কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ফেরাতে প্রতিটি কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রাখা হয়েছে একজন করে কক্ষ পরিদর্শক। ডিজিটাল জালিয়াতি রুখতে পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো ধরনের স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ বা ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ৮টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন-প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অনুমতি প্রাপ্ত ক্যাসিও ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট কিছু মডেল (যেমন: Fx-82MS, Fx-100MS, Fx-991ES Plus, Fx-991CW প্রভৃতি) এবং সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামেবল কোনো ক্যালকুলেটর পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিক বাজেয়াপ্ত করা হবে। মোট ৪০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে ১০০ এবং বিজ্ঞান ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রেখেছে এনসিটিবি।
২০০৯ সালের পর জেএসসি-জেডিসি প্রথা চালু হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই বিশেষ বৃত্তি পরীক্ষা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আবারও এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এবারের নীতিমালায় ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ—এই দুই ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হবে, যার ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত। প্রথম দিনে আজ বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়নের এই মহাযজ্ঞ শুরু হলো।