News update
  • UNRWA Report on Humanitarian Crisis in Gaza and West Bank     |     
  • Humans Can't Survive Without a Healthy Ocean: UN Envoy     |     
  • Seaweed’s Power: One Man’s Mission to Save the Planet     |     
  • Khudi Bari in shortlist for Aga Khan Architecture Award     |     
  • During Eid hospitals rest and patients languish sans care     |     

ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন: আগামী ২০০ বছরের জ্বালানির সম্ভাবনা?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীবাশ্ম 2025-06-05, 9:13am

1d2a9c6d2ff250180a12607368f1c234194f3ad0af63cf02-9f10278b70c20366042a3c65383897541749093212.jpg




বিশ্বজুড়ে কার্বন নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির সন্ধানে যখন দুনিয়া ব্যস্ত, তখন বিজ্ঞানীরা সামনে নিয়ে এলেন এক বিস্ময়কর সম্ভাবনার নাম—ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন বা ‘জিওলজিক হাইড্রোজেন’।

২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত Science Advances জার্নালের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পৃথিবীর ভূগর্ভে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন মজুত থাকতে পারে; যা বিশ্বের আগামী ২০০ বছরের চাহিদা পূরণে সহায়ক হতে পারে।

গবেষণাটির শিরোনাম: “Model predictions of global geologic hydrogen resources”।

ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন: কী বলছে গবেষণা?

গবেষকদল একটি গ্লোবাল মডেল বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, পৃথিবীর ভেতরে ১০³ থেকে ১০¹⁰ মিলিয়ন মেট্রিক টন (Mt) পর্যন্ত হাইড্রোজেন থাকতে পারে। গবেষণায় সবচেয়ে সম্ভাব্য হিসেব ধরা হয়েছে প্রায় ৫.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন।

যদিও এর সবটাই উত্তোলনযোগ্য নয়, তারপরেও মাত্র ২% উত্তোলন করা গেলেই পাওয়া যেতে পারে প্রায় ১ লাখ মিলিয়ন টন হাইড্রোজেন, যা বর্তমান বিশ্বের ২০০ বছরের জ্বালানি চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হতে পারে।

শক্তি সামর্থ্য কতটা?

গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, এই হাইড্রোজেন রিজার্ভের শক্তি সামর্থ্য প্রায় ১.৪ × ১০¹⁶ মেগাজুল (MJ)—যা বিশ্বের প্রমাণিত প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের শক্তির দ্বিগুণেরও বেশি।

বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ হাইড্রোজেনের সম্ভাবনা নিয়ে জিএসবি’র ভূতত্ত্ব বিভাগের সহকারী পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের অনুসন্ধান নিয়ে এখনো কাজ শুরু হয়নি। যেহেতু এই প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের উৎস ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক গভীরে ও বিশেষ ভূতাত্ত্বিক সেটআপ (Plates, Special Rock Association and Ambient Environment)-ভিত্তিক হয়ে থাকে, তাই সেই সক্ষমতা অর্জনের জন্য সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা ও সক্ষমতা অর্জনে কাজ করা প্রয়োজন। এই উপমহাদেশে প্রথম আন্দামানে প্রাকৃতিক মজুত পাওয়া গেছে।

তবে ব্লু হাইড্রোজেনের (কয়লার সিনগ্যাস থেকে) প্রাথমিক উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ব্লু/ব্রাউন হাইড্রোজেন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক ও প্রযুক্তি বিশ্ব বাজারে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য।

কোথায় থাকে এই হাইড্রোজেন?

এই প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন সাধারণত গভীর ভূগর্ভস্থ শিলাস্তরে তৈরি হয়। বিশেষ করে লোহার সংমিশ্রণে পানি প্রবেশ করলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এটি তৈরি হতে পারে। অনেক সময় এটি ভূগর্ভস্থ ফাটল, গুহা কিংবা ফাঁপা জায়গায় জমা থাকে। তবে এখনো বিশ্বে এর কোনো ব্যাপক পরিমাণ বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু হয়নি।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

গবেষকরা বলছেন, এই খাতে বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবায়নের আগে দরকার আরও মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধান, ভূতাত্ত্বিক জরিপ এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা। ভূগর্ভস্থ হাইড্রোজেন উত্তোলনের খরচ, পরিবেশগত প্রভাব ও নীতিগত কাঠামোও বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বিশ্ব এখন জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই শক্তি ব্যবস্থার সন্ধানে আছে। প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন হতে পারে একটি স্বল্প-কার্বন ও নিরবচ্ছিন্ন শক্তি উৎস; যা ভবিষ্যতের ‘গ্রিন হাইড্রোজেন ইকোনমি’ গঠনে ভূমিকা রাখবে। সময়।