News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

জলবায়ু পরিবর্তনে গণ বাস্তুচ্যুতি হ্রাসে পদক্ষেপের আহ্বান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জলবায়ু 2022-11-15, 8:30am




জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিনিয়তই মানুষের স্থানচ্যুতি এবং অভিবাসন হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। পরিস্থিতি ঠেকাতে জলবায়ু প্রভাবিত অভিবাসন এবং স্থানচ্যুতির বিষয়ে অধিকতর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইওএম এবং সিভিএফ এর যৌথ আয়োজনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মানব গতিশীলতা-অভিবাসন এবং জলবায়ু পদক্ষেপে ইতিবাচক ন্যারেটিভ গঠন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) মিশরের শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক কাঠামো সম্মেলনের ২৭তম অধিবেশন (কপ-২৭) প্রেক্ষাপটে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিএফভি) প্যাভিলিয়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানায় অংশগ্রহণকারীরা।

কপ-২৭ উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ সাইড-ইভেন্টে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মানব গতিশীলতা বিষয়ক নানা বিষয়ে সরকারের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন।

উল্লেখ্য, কপ-২৭ অভিবাসনের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবেলা করার জন্য অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলোকে আলোচনার একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার, আইওএম এবং সিভিএফ-এর প্রতিনিধিরা শনাক্ত করেন যে মানুষ এবং তার সম্প্রদায়ের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে।

অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি বিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদন ২০২১ অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে আনুমানিক ২১৬ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ অভিবাসী হতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জলবায়ু-প্ররোচিত অভিবাসনসহ ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জলবায়ু বিষয়ক প্যারিস চুক্তি স্মরণ করে স্বীকার করতে হবে যে জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি ভয়াবহ হুমকি। এই ভয়বহতা মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

এতে আইওএম-এর উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) উগোচি ড্যানিয়েল বলেছেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসনের মধ্যে ক্রমবর্ধিত আন্তঃসম্পর্ক লক্ষ্য করছি। এই অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে উগান্ডা সরকারের পানি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব আলফ্রেড ওকোত অকিদি ভার্চ্যুয়ালি যোগদান করে বাস্তুচ্যুতি সংক্রান্ত কাম্পালা ঘোষণার প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সিভিএফ-এর সিনিয়র উপদেষ্টা ম্যাথিউ ম্যাককিননের সঞ্চালনায় ঘানার বিশেষ দূত এবং সিভিএফের সভাপতি হেনরি কোয়াবেনা, আইওএমের অভিবাসন জলবায়ু পদক্ষেপের বিশেষ দূত এবং আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়নের সভাপতি ক্যারোলিন ডুমাস, কোস্টারিকা সরকারের পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন অধিদপ্তরের অভিযোজন বিষয়ক সমন্বয়ক ইভান দেলগাদো, দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি প্লাটফর্মের সচিবালয় প্রধান একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। এসময় সিয়েরা লিয়নের ফ্রিটাউনের মেয়র এবং মেয়র মাইগ্রেশন কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইভোনি আকি-সয়্যারের ভিডিও বার্তাও প্রদর্শিত হয়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।