News update
  • Tk 500cr Drive to Turn Haor Fallow Land Into Farmland     |     
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     

বিজয়ের ডিসেম্বর শুরু

গ্রীণওয়াচ ডেক্স খবর 2023-12-01, 8:19am

resize-350x230x0x0-image-250045-1701371144-19c03d9622b4e3dafb82ce0b60ddce1c1701397170.jpg




শুরু হলো গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম পূর্ণতা পেতে শুরু করে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

৩০ লাখ শহীদ আর অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এ বিজয়। তাই মহান এ মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি।

এর মধ্যে, আজ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক বিজয় র‌্যালি বের করা হবে। এটি স্মৃতি চিরন্তন চত্বর (উপাচার্য ভবন সংলগ্ন রাস্তা) থেকে বের হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। র‌্যালি শেষে স্বাধীনতা চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বক্তব্য রাখবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির গান ও বিজয়ের গান) পরিবেশিত হবে।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এ আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১ এর মার্চে এসে স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়।

৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন। বাঙালির এ স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বর্বরোচিতভাবে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এরপরই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙালি নিধন অভিযান।

তবে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র, শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়।

একপর্যায়ে বাঙালির বীরত্বের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এই ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি বিজয়ে দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই মাসের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে তৎকালীন বিশ্বের দুই পরাশক্তির অবস্থান প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও আগে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়।

কিন্তু ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ জাহাজ পাঠায়। সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া আগে থেকেই ভারত সার্বিকভাবে বাংলাদেশে পক্ষে দাঁড়ায় এবং সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনী অংশ নেয়।

শরণার্থীদের আশ্রয়, খাদ্য, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয় ভারত। তবে পাকিস্তানের পক্ষের ছিল চীন। বাংলাদেশের বিজয়কে ঠেকাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনা হলে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া যা বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত আরও জোরালো হয়ে উঠে।

মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ মরণপণ যুদ্ধের কাছে টিকতে না পেরে এবং বিশ্ব জনমতের চাপে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।