News update
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     
  • S Arabia, Pak ink defence pact after Israeli strike on Qatar     |     
  • No new committee forming, focus on polls candidates: Tarique     |     

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-09-19, 6:35am

b0de92fa35a8a7d82685745907b71231e73fa1254ee94b72-68a7b9111435dbf64409cfa87d3f55921758242122.jpg




এশিয়া কাপে 'বি' গ্রুপের এই ম্যাচটা অনেক কারণে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। ৩ দলের সুপার ফোর ভাগ্য নির্ভর করছিল এই ম্যাচটির ওপর। শ্রীলঙ্কা জিতলে তাদের পাশাপাশি সুপার ফোরে উঠবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান জিতলে বাদ পড়বে টাইগাররা, ছিল আরও কঠিন কিছু গাণিতিক সমীকরণ। তবে সকল কঠিন সমীকরণকে পাশে ঠেলে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও টেনে তুলেছে সুপার ফোরের লড়াইয়ে।

আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।

লঙ্কানদের এই জয়ে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটভক্তরা আনন্দে ভাসলেও কপাল পুড়েছে আফগানিস্তানের। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন লড়াই করেও দুই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে রশিদ খানের দল। 'বি' গ্রুপ থেকে বাদ পড়া আরেক দল হংকং। সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে দলটি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন শুরুটা খারাপ হয়নি আফগানদের। প্রথম দুই ওভারেই দলের খাতায় ২৬ রান যোগ করেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ আতল। তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে জোড়া উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে ফেরান তুশারা। ৮ বলে ১৪ রান করে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন গুরবাজ। ৩ বলে ১ রান করে লাইন মিস করে বোল্ড হন করিম জানাত।

এক ওভার পর আক্রমণে এসে আরেক ওপেনার আতলের উইকেটও তুলে নেন তুশারা। ১৪ বলে ১৮ রান করে লঙ্কান পেসারের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন আতল। দলীয় ৬৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানরা। ১৬ বলে ৯ রান করে দুশমন্থ চামিরার বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন দারউইশ রাসুলি। ১২তম ওভারে দাসুন শানাকার বলে ইনসাইড এজ হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বোল্ড হলে বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। ৪ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার। তিন বল পর দুনিথ ভেল্লালাগেকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম জাদরান। ২৭ বলে ২৪ রানে থামেন এ ব্যাটার।

চাপের মুহূর্তে ক্রিজে নেমে মোহাম্মদ নবির সঙ্গ নিয়ে দলকে পথ দেখান অধিনায়ক রশিদ খান। ৩৫ রানে জুটিতে পার করে দেন শতরান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রশিদকে বোল্ড করে সে জুটি ভাঙেন তুশারা। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে দলীয় ১১৪ রানে আউট হন আফগান অধিনায়ক। পরের গল্পটা সাজান নবি একাই।

এদিন লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন ভেল্লালাগে ও চামিরা। ১ উইকেট তুলে নিতে চামিরা ৫০ আর ভেল্লালাগে ৪৯ রান দেন।

রান তাড়ায় শুরুটা মাঝারি মানের হয় লঙ্কানদের। পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রান এলেও দুটি উইকেট হারায় দলটি। তৃতীয় ওভারে দলীয় ২২ রানে ফেরেন পাথুম নিসাঙ্কা। ষষ্ঠ ওভারে নবির শিকাক্র হয়ে ফেরেন কামিল মিশারা।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই জারি রাখেন কুশল মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেটে কুশল পেরেরার সঙ্গে ৪৫ এবং চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে লড়াইয়ে নিজ দলকে এগিয়ে রাখেন এই ওপেনার। ২০ বলে ২৮ রান করে দ্বাদশ ওভারে মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন কুশল। নুর আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে চারিথ আসালঙ্কা করেন ১২ বলে ১৭।

আসালঙ্কার বিদায়ের সময় ৩১ বলে ৫১ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বলেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কামিন্ডু মেন্ডিস। ১০ চারে ৫২ বলে ৭৪ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কুশল মেন্ডিস।