News update
  • Fire at Dhaka's Bailey Road building tamed after an hour     |     
  • BNP Prepares Grand Reception for Returning Chairperson Khaleda      |     
  • Govt Plans Unified Promotion System for State Banks     |     
  • Export Earnings Grow by 9.83% in July–April     |     

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-04-23, 7:11am

img_20250423_070919-cc41af01faa2e5bc90881713d59b0ecb1745370708.jpg




খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে দেশের সব (স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ক্লাস বর্জন চলবে বলে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। 

এ সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবি শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক বলেন, বুধবার আমরা কোনো ক্লাস করব না। দেশের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করুন। সব ক্যাম্পাসে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল তিনটায় এক দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, রাত সাড়ে দশটায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট অবরোধের পর রাত ১২টা ১৫ মিনিটে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একদল নেতাকর্মী। 

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।আরটিভি