News update
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     
  • Sirajganj’s luxuriant mustard fields bloom as an oasis of gold     |     
  • Man killed after boat hits sand-laden bulkhead on Padma River     |     

ঝিনাইদহে লিচু চাষিদের মুখে হাসি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি কৃষি 2022-05-27, 10:33pm




চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। গাছে গাছে রয়েছে নানা রকম ফলের সমাহার। গাছের ফল পাকতে শুরু হয়েছে।


ঝিনাইদহে হাট বাজার গুলোতে রসালো ফল লিচু আসতে শুরু করেছে। এবছর লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেছিল চাষিরা। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিরিক্ত খরাসহ কয়েকদফা কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়েছে। কিন্তু লিচুর বাজার চাহিদা এবং দামে খুশি বাগান মালিকগণ।


বাগান মালিকরা বলছেন, এবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে লিচুর ব্যাপক মুকুল এবং প্রচুর ফল ঝরে পড়েছে। প্রতি বছরই এখানকার চাষিরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকেন। এবছর যে বাগানে ফল রয়েছে তারা লাভবান হচ্ছন। বর্তমান লিচু আঁকার বুঝে আড়াইশ' থেকে তিনশ' টাকা শ' হিসাবে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।


কৃষি অফিস ও চাষিরা জানান, জেলায় বেদানা মোজাফ্ফর, চায়না থ্রি ও বোম্বাই, কদম, এলাচি এবং পাতি জাতের লিচু বাগানের আবাদ হয়ে থাকে। এছাড়াও বাসাবাড়ির আঙিনায় গাছের লিচুতে অনেকটা পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে থাকে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীরা লিচু গাছে রেখেই কিনে বাগান পরিচর্যা করেন। সময় হলে গাছ থেকে লিচু পেড়ে বিক্রি করেন।


ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের বাগান মালিক পিন্টু মিয়া বলেছেন, তার ৪০ শতাংশ জমিতে ২১ টি লিচু গাছ রয়েছে। এবছর কিছু লিচু ঝড় ও খরায় পড়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করেছেন। মোট লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।


জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা গ্রামের বাগান মালিক মুকুল মিয়া বলেছেন, তার চার বিঘা জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। নানান রকমের প্রতিকূলতার মধ্যেও বাগানের গাছে যথেষ্ট লিচু রয়েছে। এরই মধ্যে বিক্রি শুরু করেছেন। বাজারে বিক্রির চাহিদা ও দাম ভালো। তাই ভালো লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করছেন।


উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহায়মেন আখতার বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে।

 

জেলা শহরের লিচু ব্যবসায়ী সদর উপজেলার শংকরপুরের ইব্রাহীম খলিল বলেছেন, বাগান কিনে লিচু বিক্রি করে লাভ করা ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ- ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অতিরিক্ত রোদ খরার ঝরে পড়ে যাবে। এছাড়াও যত্ন, পাহারার ঝামেলা তো আছেই। এবছর বাগান কিনে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে। আবার যাদের লাভ হচ্ছে, তা অনেক বেশি। যা কল্পনা করতে পারেনি তারা। তিনি পূর্বে বাগান কিনে ব্যবসায় লোকসান হবার কারণে গত কয়েক বছর ধরে আর বাগান চুক্তি কেনেন না। এবছর বাগান মালিকদের নিকট থেকে পিচ চুক্তিতে লিচু কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এবছর চাহিদার পাশাপাশি দাম ভালো বলে তিনি জানান।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেছেন, ঝিনাইদহে ৩২০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। আর এই পরিমাণ বাগান থেকে ৩ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। লিচু বাগানের আবাদ করে অনেক চাষিদের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় অন্যদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফল বাগানে ফুল- ফল ধরেন অল্টারনেটিভ হয়ে থাকে। যে কারণে এক মৌসুমে ফলন বেশি আসলে পরের মৌসুমে প্রাকৃতিকভাবে ধরন কম হতে পারে। তবে এই মৌসুমে ফলের বাজার চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। প্রাকৃতিকভাবে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হলেও ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।