গাজায় সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে আজ সোমবার মিশরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে আলোচনায় বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরাইল মধ্যে এরইমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই চুক্তি অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতিত্ব করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না।
ট্রাম্পসহ ২০টির বেশি দেশের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনে যোগ দিতে এরইমধ্যে মিশরে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
মিশরের আল কাহেরা সংবাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিম্নলিখিত দেশগুলোর নেতা বা তাদের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাহরাইন, জর্ডান, কুয়েত, ওমান, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইউরোপ থেকে আর্মেনিয়া, সাইপ্রাস, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, ইতালি, স্পেন যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
এশিয়া থেকে আজারবাইজান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের নেতারা সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদন মতে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, আরব লীগের মহাসচিব ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতিও উপস্থিত থাকবেন।
আল জাজিরা বলছে, রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, তিনি এবং প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, তেহরান এখনও ‘গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ করার’ যেকোনো উদ্যোগকে সমর্থন করে।
এছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মিশরের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে তার অফিস জানিয়েছে।
সম্মেলনে ইসরাইলের সরকারের কেউ থাকছেন না। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান রোববার সাংবাদিকদের বলেন, মিশরের সম্মেলনে ইসরাইলের কোনো কর্মকর্তা যোগ দেবেন না।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত নিয়ে আলোচনা হলেও হামাসের কোনো নেতা সম্মেলনে থাকবেন না। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেয়া হামাসের প্রতিনিধিদলের প্রধান খলিল আল-হায়াসহ বেশির ভাগ সদস্য গত শনিবার শারম আল শেখ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।