
নওগাঁয় হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও সূর্যের দেখা মিলছে না, যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, এবং জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে, এবং শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডা-জনিত রোগ বাড়ছে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বদলগাছি আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষন অফিসের তথ্যমতে সকাল ৬টায় জেলায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকোর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় নিম্নমুখী।
বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আকাশে মেঘের প্রাদুর্ভাব থাকায় সূর্যের তাপের তীখনতা কম থাকে। দুপুর বেলায় সামান্য সূর্যের দেখা মিললেও সারাদিন দেখা মেলে না। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা বৃষ্টির মতো ঝরছে, যার কারণে দিনের বেলায়ও রাস্তাঘাটে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, যা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
শীতের প্রভাবে যাতায়াতে সমস্যা ঘন কুয়াশার কারণে রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল চালকদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বেড়েছে, হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে।
দিনমজুরদের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে রিকশাচালকসহ দিনমজুররা কাজে যেতে না পারায় চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
শীতে দুর্ভোগে থাকা মানুষেরা জানিয়েছেন, কাজে বের হতে হলে ঠান্ডা-শীত উপেক্ষা করে তারা কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন। প্রতি বছর এমন সময় তারা শীতবস্ত্র পেয়ে থাকলেও এবছর তারা কিছুই পাননি। সরকার ও বিত্তবানদের প্রতি তারা আহবান জানান শীত বস্ত্রের জন্য।