News update
  • Inflation Dips to 8.29% in August, Lowest in 3 Years     |     
  • Eminent writer Badruddin Umar passes away     |     
  • Dhaka’s air recorded ’moderate’ Sunday morning     |     
  • Clashes in Hathazari over FB post; Section 144 imposed     |     
  • Total Lunar Eclipse to Be Visible Sunday Night     |     

আদালতের পলাতক ঘোষিত ব্যক্তি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না, প্রস্তাব ইসির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আদালত 2025-09-03, 2:23pm

erwtwertwe34534543-e3d857df97a7d506ad46b115438e1e4c1756887781.jpg




ব ইসির


আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনলাইন পদ্ধতি থাকছে না। ফলে, স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। আর আদালত থেকে ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে এমন বিধান আনতে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

‎এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং হয়ে এলে তারপর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো আদালত থেকে ফেরারি ঘোষিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হবেন। ‎ফলে মামলায় যারা পলাতক হিসেবে আদালত কর্তৃক ঘোষিত হবেন, তারা আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। ‎এ ছাড়া প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে নতুন বিধানে।

‎ইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল করা গেলেও তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বা তার প্রস্তাবক বা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। তারা তারিখ ও সময় উল্লেখ করে রশিদ দেবেন।

‎আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবে সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদি ও প্রবাসীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এতে ভোটের হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রেসিটেন্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথও নিশ্চিত হচ্ছে। প্রার্থীকে সর্বশেষ ট্যাক্স বছরের রিটার্ন দাখিল করতে হবে৷ দিতে হবে দেশে ও বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণ ও আয়ের উৎস।

‎একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে৷ এতে কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে সেই প্রার্থীকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। ‘না’ ভোট জয়ী হলে ফের ভোট হবে। দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী থাকলে তিনিই নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন।

‎‎সূত্র জানিয়েছে, অনিয়মের কারণে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ইসির কাছে পুনর্ন্যস্তকরণ, জোট করলেও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে নিজ প্রতীকে ভোটের লড়াই করা, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয় প্রমাণ হলে সংসদ সদস্যপদ বাতিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় আর্মি, নেভি, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে যুক্ত করা, ইভিএম বাতিল, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা ২৫ লাখ করা, পুলিশ প্রশাসনের বদলিতে ডিআইজি পর্যন্ত ইসির অনুমতি নির্ভর করা, সমভোটের ক্ষেত্রে লটারি প্রথা বাতিল, এআই ভিত্তিক মিথ্যাচারে মিডিয়ার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থার বিধান, দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ বা স্থগিত হলে নিবন্ধনও স্থগিত, নিবন্ধন না দিলে তার কারণ ১৫ দিনের মধ্যে দলকে অবহিতকরণ বিষয় যুক্ত রয়েছে।

‎এ ছাড়া নারীদের লক্ষ্য করে সাইবার বুলিং রোধ করা, বিদেশে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সশরীরে প্রচারণা না চালানো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার চালালে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল নয়, গণমাধ্যমও শাস্তির মুখে পড়বে এমন বিধানও রাখা হয়েছে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালায়।