News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

৬ মাসে অর্থনীতি যেভাবে কামব্যাক করেছে তা মিরাকল: প্রেস সচিব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-02-26, 12:38pm

img_20250226_123758-372510da570c9f1a6af3fc174ae4ce6d1740551890.jpg




প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত ছয় মাসে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি কামব্যাক করেছে সেটা মিরাকল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের অর্থনীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, সেটা যেকোনো সময় ফল করত।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, এনার্জি খাতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনা দরকার। স্টেট স্পন্সরশিপ করে ডাকাতি হয়েছে এই খাতে। বিদ্যুৎ খাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। বড় বড় পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আমরা গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খনন করতে চাই।

তিনি বলেন, এনার্জি সিস্টেমে দক্ষ না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ দরকার, সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম করছেন তা ভালো ছিল না। হাতে টাকা নাই, যা তা খরচ করেছে বিগত সরকার। ৫৬০টা মডেল মসজিদ বেশি ব্যয়ে করা হয়েছে, যা আরও কম টাকায় করা যেত। এমনভাবে রেললাইন টানা হয়েছে সারা দিনে রেল চলে না। এটা জনগণের টাকার অপচয় করা ছাড়া কিছু নয়।

বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে। এই পোর্টের দক্ষতা না বাড়লে ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে না। রি-এক্সপোর্ট করতে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। এজন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা চাই চট্টগ্রামের প্রতিটি পোর্ট উন্নয়ন করতে, তাহলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।

শফিকুল আলম বলেন, আপনার টাকা নাই কিন্তু আপনি মসজিদ করবেন। সরকার কেন মসজিদ করবে? গণমাধ্যমে দেখলাম একটি মসজিদ করতে ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু এই মসজিদ পাড়ার কমিটিগুলো ৩ কোটি টাকায় করতে পারত। চুরির একটা উৎসব চলেছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নিজের জন্য টানেল হয়েছে। দেশের অর্থনীতি কলাপস হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল, ছয় মাসে ইকোনমি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল। আমরা এমন এক ইকোনমিক ব্যবস্থা পেয়েছিলাম যেখানে জমিদারের মতো হাতে কিছু টাকা পেয়েছি তা বাজে কাজে ব্যবহার হয়েছে। অপচয়কে ট্যাকেল দিতে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। বাজেটের বড় অংশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান।

আরটিভি