News update
  • UN Estimates $70 Billion Needed to Rebuild Gaza After War     |     
  • Mirpur garment factory, chemical godown fire kills 9     |     
  • Garbage pile turns Companiganj Bazar into an unhygienic town     |     
  • Put 'old feuds' aside for a new era of harmony in ME: Trump     |     
  • Rivers are Bangladesh's lifeblood, Rizwana at UN Water Convention      |     

রপ্তানি প্রণোদনা কমালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশীয় শিল্প

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-07-02, 7:35am

dsfsjdflsjl-1c593123bdb2ba12c4bef6af4a552cf11719884112.jpg




চলতি অর্থবছরে প্রায় সব খাতে রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, সরকার এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের পরে রপ্তানি ভর্তুকি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।

আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ওপর চাপ কমানো এবং রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়িয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রস্তুত হতে উৎসাহিত করাও এ পদক্ষেপের লক্ষ্য। তবে, এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তার মতে, এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়বে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস পোশাক খাতের ওপর।

হাতেম এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেন, ‘পোশাক খাত এখন আইসিইউতে রয়েছে। যথাযথ চিকিৎসা না দিলে শিগগিরই লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে। এই মুহূর্তে রপ্তানি প্রণোদনা কমানো মানে এ খাতকে গলা টিপে হত্যা করা।’

তবে, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। আজ সোমবার (১ জুলাই) তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে সরকার রপ্তানি ভর্তুকি কমিয়েছে। তবে, দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং প্রণোদনা উভয়ই প্রয়োজন।

এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কিছু খাতকে প্রভাবিত করবে উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেন, সরকার বিকল্প উপায়ে এটি কভার করতে পারে। অনেক স্থানীয় শিল্প উচ্চ সুদের হার এবং উচ্চ ইউটিলিটি বিলের কারণে হিমশিম খাচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়াচ্ছে। তাই রপ্তানি খাতে টিকে থাকতে হলে স্থিতিশীল বিনিময় হার ও স্বস্তিদায়ক হারে জ্বালানি সরবরাহ অপরিহার্য।

গত ৩০ জুন এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে রপ্তানি প্রণোদনার সর্বোচ্চ হার ১০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক তিন শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সব বাজারে পোশাক প্রস্তুতকারকদের নগদ সহায়তা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে অর্ধেক করে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য নগদ ভর্তুকি তিন শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা হয়েছে।

এই কম রপ্তানি প্রণোদনা পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ ও কৃষিজাত পণ্যসহ অন্যান্য বিভিন্ন খাতের জন্য প্রযোজ্য হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটির হার ছিল ১৫ শতাংশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগে তারা ২০ শতাংশ প্রণোদনা পেতেন। তবে ক্রাস্ট চামড়া রপ্তানিতে ছয় শতাংশ প্রস্তাব করেছে সরকার। বর্তমানে ৪৩টি খাত এই সহায়তা পেয়ে থাকে। গত তিন বছরে সরকার বার্ষিক প্রায় ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এনটিভি