আফগানিস্তানে নারীদের মানবাধিকারের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার জন্য জাতিসংঘের নতুন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তালিবান বলেছে যে, বিধিনিষেধগুলো স্থানীয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই গোঁড়া গোষ্ঠী তালিবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে জাতিসংঘের উদ্বেগকে “ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আফগান বিরোধী গোষ্ঠী দ্বারা “কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিদ্বেষপূর্ণ এবং শত্রুতামূলক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রায় না দেয়ার জন্য” বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আফগান মূল্যবোধের প্রতি ‘সম্মান প্রদর্শন” করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তালিবান। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাস করে।
বৃহস্পতিবার তালিবান নেতাদের সাথে বৈঠকের পর আফগানিস্তানে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেট বলেন, তালিবানের বিধিনিষেধসমূহ দেশটিতে “নারীদের অদৃশ্য করে তুলছে।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালিবানকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা বলেছে, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি সমস্ত আফগান নাগরিকের বিশেষ করে নারীদের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার পরেই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী ইসলামপন্থী তালিবানের সাথে প্রায় ২০ বছর যুদ্ধের পর গত আগস্টে নিজেদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সে সময় পশ্চিম-সমর্থিত আফগানিস্তানের প্রাক্তন সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।