স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে টেকসই কৃষি ব্যবস্থা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বতর্মান সরকার কৃষকের সরকার। সরকার শুধু কৃষকের বন্ধুই নয়, দরদীও। কৃষকের আশা আকাঙ্খা বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।
স্বপন ভট্টাচার্য্য আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় তিন দিনব্যাপী দশম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আধুনিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের সংকটকালীন মূহুর্তে বঙ্গবন্ধু কৃষির উন্নয়নে যে রূপরেখা প্রদান করেছিলেন পরবর্তীতে তা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল।
তিনি বলেন, কৃষকদের ধান কাটার জন্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টর কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো, যেসব কৃষি উদ্যোক্তা অথবা কৃষক সমিতি হারভেস্টর কেনে, তাদের মোট দামের অর্ধেক ভর্তুকি দেয় সরকার। হাওরে এটা ৭০ শতাংশ।
কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরী ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তির প্রসার ও প্রচারে সফল হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া’র মহাপরিচালক খলিল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.মন্জুরুল আলম, আরডিএ’র পরিচালক ড. ফেরদৌস হোসেন খান এবং লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ এন্ড এক্সিবিশনস্ লি., ঢাকার পরিচালক কাজী ছারোয়ার উদ্দীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম। তথ্য সূত্র বাসস।