তুরস্ক ও ইসরাইল বুধবার বলেছে, তারা চার বছরেরও বেশি সময় পর নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের পুনরায় নিয়োগ দেবে। যা কয়েক মাস ধরে তাদের নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের অবিরাম উন্নতির পর আরেকটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
জেরুজালেমে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার বিরুদ্ধে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভের সময় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালে দুই আঞ্চলিক শক্তি পরস্পরের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিল।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিড এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে কথোপকথনের পরে লাপিডের অফিস এক বিবৃতিতে বুধবার জানিয়েছে, দুটি দেশই পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত হলে তা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর করবে। অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদারেও ভুমিকা রাখবে।’’
গত মার্চে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোগ তুরস্কে ভ্রমণ করেন। এরপরই উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা উত্তেজনার পর পারস্পরিক সম্পর্ক উষ্ণ করতে সহায়তা করে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেছেন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি অন্যতম পদক্ষেপ।
ইসরাইল আঞ্চলিক শক্তিগুলির সাথে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করার পরপরই এই পদক্ষেপটি নেয়া হয়। তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তির দুই বছর পর ইসরাইল, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কোর মধ্যেকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়।
তুরস্ক ২০২০ সালে বিচ্ছিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু বন্ধুত্বপূর্ন পদক্ষেপ নিয়ে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল এবং সৌদি আরবকে প্রস্তাব দেয়। কায়রোর সাথে এই প্রচেষ্টার এখনও পর্যন্ত খুব কম অগ্রগতি হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, রিয়াদ এবং আবুধাবির সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।