News update
  • Insidious campaign by Israel denying lifesaving aid to Gaza      |     
  • Guterres appeals for maximum restraint in the Middle East     |     
  • Gaza: UN experts decry ‘systemic obliteration’ of education system     |     
  • Bangladesh’s forex reserves fall below $20 billion again     |     
  • Not only BNP men, AL imprisoned country’s people too: Rizvi     |     

ডলার সংকট যেভাবে প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের পাঁচ শিল্প খাতে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2023-01-30, 8:51am

56d7a560-9fba-11ed-8f65-71bfa0525ce3-ddb0f2db5f7235de52de51e245e8b53e1675047083.jpg




বাংলাদেশে গত কয়েক মাস ধরেই ডলার সংকট, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের বেশ কয়েকটি প্রধান শিল্প ও উৎপাদন খাতে। ডলার সংকটের কারণে গত বছরের মাঝামাঝি আমদানির ওপরে বেশ কিছু কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ডলার না থাকার কারণে অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকও আমদানিতে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে পারছে না।

এরফলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন আমদানিকারকরা। কারণ আমদানি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি- বেশিরভাগ পণ্যই আমদানি করা হয়।

এসব শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়েও জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন কারখানা মালিকরা।

সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ।

সম্প্রতি শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর বেড়েছে কারখানায় উৎপাদন খরচ।

এ কারণে সংকটে পড়েছেন দেশীয় অনেক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।

দেশীয় বাজারে একদিকে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে কাঁচামাল আমদানি নিয়ে জটিলতায় উৎপাদন অব্যাহত রাখাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে।

ওষুধ: ডলার ও গ্যাস দাম বাড়িয়ে দিতে পারে মূল্য

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯৮ শতাংশ দেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পের পর বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পকে অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসাবে বিবেচনা করছে সরকার।

কিন্তু এই শিল্পের কাঁচামালের আশি থেকে ৮৫ শতাংশ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

প্রতিবছর এই খাতে এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।

একটি ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান কসমো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক মোহাম্মদ আলী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, অনেক কোম্পানি সময় মতো কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না।

তিনি বলেন, "এমনকি হান্ড্রেড পার্সেন্ট মার্জিন দেয়ার পরেও এলসি খোলা যাচ্ছে না। আবার অনেক আমদানিকারক হয়তো কাঁচামাল এনেছেন, কিন্তু বন্দর থেকে সময় মতো খালাস করতে পারছে না। কারণ ব্যাংক এলসি নিষ্পত্তি করতে পারে না। ফলে অনেক কারখানায় ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।‘’

তিনি বলছেন, এসব কারণে ওষুধ উৎপাদনে কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

আগে বিভিন্ন দেশ থেকে যে দামে তারা কাঁচামাল আমদানি করতেন, ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের সেখানেও তাদের খরচ বেড়েছে।

ওষুধ প্রস্ততকারক একটি কোম্পানির কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, আপাতত উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার মতো কাঁচামাল তাদের কাছে রয়েছে।

কিন্তু নতুন কাঁচামাল আনতে হলেই তারা বিপদে পড়বেন। কারণ এর মধ্যেই দুটি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তারা এলসি খুলতে পারেননি।

কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে গত বছর বাংলাদেশে ওষুধের দাম এক দফা বেড়েছিল।

এখন ব্যবসায়ীরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, গ্যাস ও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ডলারের বিনিময় মূল্যের কারণে খুব তাড়াতাড়ি ওষুধের আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে পারে।

সিমেন্ট খাত: ঋণের খরচ বেড়েছে ২০ শতাংশ

ওষুধ শিল্পের মতোই প্রভাব পড়েছে দেশের আরেকটি বড় শিল্পখাত সিমেন্ট শিল্পে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গ্যাসের সংকটের কারণে তারা নিজেরাও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেন না।

সেই সঙ্গে গ্যাসের এবং তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়ে গেছে তাদের উৎপাদন খরচ।

ডিসেম্বর মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সিমেন্ট প্রস্ততকারক সমিতির (বিসিএমএ) নেতারা দাবি করেন, ডলারের বাড়তি দামের কারণে তাদের ঋণের খরচ ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

ফলে চলতি মূলধন সংকটে পড়েছে সিমেন্ট শিল্প।

বিসিএমএ সভাপতি মোঃ আলমগীর কবির ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বছরের শুরুতে তারা কাঁচামাল কেনার সময় ৮৬-৮৭ টাকা ডলার ধরে ঋণপত্র খুলেছেন।

সেই হিসাবে পণ্য বিক্রি হয়েছে।

কিন্তু এখন ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে গিয়ে তাদের ডলার প্রতি ১০৬ থেকে ১১২ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।

ফলে অনেক মালিকের বড় ধরনের মূলধন ঘাটতিতে পড়েছেন।

আলমগীর কবির বলেন, ‘’কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়ে ঋণপত্র খুলতে গিয়েও আমাদের অনেক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

অনেক ছোট ছোট উৎপাদক দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও ব্যাংক থেকে ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। ফলে তাদের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে।‘’

হালকা প্রকৌশল শিল্প: দাম বেড়েছে বিক্রি কমেছে

বাংলাদেশে গাড়ির ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে কৃষি ও নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক পণ্যের ছাঁচ, নাট-বল্টু, বেয়ারিং ইত্যাদি অনেক এখন দেশেই তৈরি করা হয়।

কিন্তু গত এক বছর ধরে দেশের আরও অনেক শিল্প খাতের মতো এই শিল্পও সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের যন্ত্রাংশ প্রস্ততকারক একটি ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা শোভন সাহা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লাগার পর থেকেই কাঁচামালের দাম হুহু করে বাড়তে শুরু করেছিল, এখন তা অর্ধেক ছাড়িয়ে গেছে।

এরপর ডলারের দাম বেড়ে আমার খরচ আরও বেড়েছে। আমরাও বাধ্য হয়ে যন্ত্রাংশের দাম বাড়িয়েছি। কিন্তু টুলসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন বিক্রি কমে গেছে।‘’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব শিল্পের জন্য প্রধানত চীন থেকে কাঁচামাল আনা হয়।

অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করে বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ, ধান মাড়াই মেশিন, প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, নানারকম খেলনা তৈরি করা হয়।

কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে ঋণপত্র খুলতে না পারার কারণে অনেক কারখানা তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

‘’এদিকে ডলারের দাম বাড়ার কারণে কাঁচামালের দাম বেড়েছে। আগে চীন থেকে একটা কন্টেইনার আনতাম এক হাজার ডলারে, এখন লাগে চার হাজার ডলার।

তারপরেও ঋণপত্র খোলা যায় না। কাঁচামাল আনতে না পেরে অনেক ফ্যাক্টরিতে ঠিক মতো কাজ হচ্ছে না,‘’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশে এই সমিতির সদস্য সংখ্যা তিন হাজার ২০০। কিন্তু সারা দেশে এরকম অর্ধ-লক্ষ্যাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে নেতারা বলছেন।

গত অর্থবছরে এই খাত থেকে ৭৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৬ কোটি ডলারের পণ্য।

চামড়া শিল্প: ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই খাতের চামড়া দেশের ভেতর থেকে সংগ্রহ করা হলেও, প্রক্রিয়া করার জন্য দরকারি রাসায়নিক বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।

কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আরও অনেক খাতের মতো ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরকেও।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মুখে বাংলাদেশের সরকার খাদ্য-পণ্যের মতো জরুরি খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলসি খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

সেই সঙ্গে রপ্তানিমুখী খাতগুলোকেও অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, খাদ্য-পণ্য এবং রপ্তানি মুখী পণ্য উৎপাদকদেরও কাঁচামাল আনতে গিয়ে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, যে হারে এলসি খোলার চাহিদা রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা না থাকার কারণে চাইলেও তারা সেটা খুলতে পারছেন না।

বাংলাদেশে ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’চুন, লবণ আর সালফিউরিক এসিড- এই তিনটা ছাড়া আর সব কাঁচামাল আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। 

কিন্তু এখন একটা এলসি খুলতে অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয়। অনেক ছোট ব্যবসায়ী ঠিকমতো খুলতেও পারছে না’’ অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘’আমাদের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো, সামনের কোরবানির সময় আমাদের দেশের ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট চামড়া সংগ্রহ হয়।

তার আগেই আমাদের কাঁচামাল নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এখন দেখছি রোজার খাদ্য-পণ্য আমদানিতেই ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। আমরা কি করবো, এটা ভেবে চিন্তায় আছি,‘’ তিনি বলছেন। 

কিন্তু এই ব্যবসায়ীদের আরেক দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কারখানায় বিদ্যুৎ আর গ্যাস না থাকা।

মুদ্রণ শিল্প: ডলারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বইয়ের দাম

ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে অমর একুশে বই মেলা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু কাগজের সংকট আর চড়া দামের কারণে এই বছর বই কতটা বিক্রি হবে,তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে ব্যবসায়ীদের।

প্রকাশক ও মুদ্রণ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক মাসে বাজারে কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এমনকি বেশি টাকা দিলেও ভালো মানের কাগজ মিলছে না।

বাংলাদেশে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘’কিছুদিন আগেই পাঠ্যবই প্রকাশের বড় একটা চাপ গেল।

এখনো সে কাজ চলছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় ভালো কাগজের সংকট আছে। এমনকি বেশি টাকা দিয়েও অনেক প্রকাশক কাগজ পাচ্ছেন না।‘’

আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, অনেক বেশি টাকা দিয়ে কাগজ কিনতে হচ্ছে।

"প্রতি রিমের দাম তিনমাস আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এখন তো বলা যায়, প্রতি সপ্তাহে কাগজের দাম বাড়ছে। জুলাই পর্যন্ত ছাপা হওয়া বইয়ে আমি যে দাম রেখেছিলাম, এরপরে ছাপা বইয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়াতে হয়েছে,‘’ বলেন তিনি।

মি. গনি আশঙ্কা করছেন, বাড়তি দামের কারণে এবারের বইমেলায় বই প্রকাশের সংখ্যাও কমতে পারে।  

প্রকাশকরা বলছেন, গত জুলাই মাস থেকে যখন ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে, তখন থেকেই কাগজের দামও বাড়তে শুরু করে।

বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের কাগজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বইপত্র ছাপানো বা পড়াশোনার কাজে হালকা কাগজ ব্যবহৃত হয়। এর পুরোটাই দেশীয় কারখানায় উৎপাদিত হয়। এখন এই খাত সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে।

অন্যদিকে ক্যালেন্ডার, প্যাকেজিং বা গার্মেন্টস শিল্পে ভারী কাগজ দরকার হয়। এটা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে।

এখন বাজারে উভয় ধরনের কাগজের সংকট তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের কাগজ কারখানাগুলোর কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।

কিন্তু ডলারের দাম দেড়গুণ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীদের আগের আমদানি করা পাল্পের জন্য বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে।

ফলে অনেকে চলতি মূলধন সংকটে পড়েছেন।

আবার ডলার না থাকায় নতুন করে কাগজ আমদানিতে ঋণপত্র খুলতে রাজি হচ্ছেনা ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং এফবিসিসিআই পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া বিবিসি বাংলাকে ২০২২ সালের মে মাসে বলেছিলেন, তার আগের দুইমাস ধরে তাইরা এলসি খুলতে পারছি না।

ব্যাংকের কাছে গেলেই তারা আমাদের রিফিউজ করে দিচ্ছে। মূলত ডলার সংকটের কারণেই বাজারটা অ্যাফেক্টেড হয়ে গেছে।‘’ তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।